||শাহিন আহমেদ|| ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সপরিবারকে নির্মমভাবে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত পাকিস্তানের দোসর খুনি মুশতাকের প্রতিকৃতিতে ঘৃণা প্রদর্শন ও সকল সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের দাবি জানিয়েছে দাউদকান্দি উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ।
সোমবার(৩১ আগস্ট) সকাল থেকে দাউদকান্দি সুন্দরপুর ইউনিয়নের ট্রমা সেন্টারে উপজেলা যুবলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে থাকে এবং দুপুর গড়াতেই খুনি মুশফিকের বাড়িতে এক বিশাল জনসমুদ্র সমবেত হয়। এসময় জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত প্রধান মদদদাতা খুনি মুশতাকের বাড়ির সন্মুখে প্রতিকৃতি তৈরী করে কংকর ও জুতা নিক্ষেপের মাধ্যমে ঘৃণা প্রদর্শন করে স্বাধীনতার চেতনায় উজ্জীবিত সাধারণ মানুষ।
দাউদকান্দি উপজেলা যুবলীগের আয়োজনে আয়োজনে ঘৃণা প্রদর্শন ও কংকর/পাদুকা নিক্ষেপ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে
উপস্থিত ছিলেন দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলী।
এছাড়াও দাউদকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আহসান হাবীব চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সালাম, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগ নেতা হাবিব মাস্টার, বাসুদেব ঘোষ, কুমিল্লা উত্তর জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক বাহাউদ্দিন বাহার, কুমিল্লা উত্তর জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি রকিব উদ্দিন রকিব, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী জেবুন্নেছা জেবু, সাধারণ সম্পাদক লায়লা হাসান, দাউদকান্দি উপজেলার যুবলীগের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক হেলাল মাহমুদ, মোঃ আল-আমিন, উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি লোকমান মুন্সি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোঃ নোমান মিয়া, কুমিল্লা উত্তর জেলা মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সভাপতি মোঃ রকিবসহ কুমিল্লা উত্তর জেলা/দাউদকান্দি উপজেলা/পৌর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সকল অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা নেতাকর্মীরা।
এসময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর খুনীদের ঘৃণা প্রদর্শন শেষে দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মেজর ( অব.) মোহাম্মদ আলী বলেন, আগস্ট মাস জাতির শোকের মাস। আগস্টের ১৫ তারিখ বাঙ্গালী জাতির জীবনে সবচেয়ে বেদনা ও কষ্টের দিন। এই দিনে আমরা হারিয়েছি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তাঁর পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে। মহান মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত অপশক্তি পাকিস্তানের দোসররাই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের সেই কালো রাত্রিতে ধানমণ্ডির বত্রিশ নাম্বার বাড়িতে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। অন্যতম মাস্টারমাইন্ড ছিল দাউদকান্দির কুলাঙ্গার সন্তান, মীরজাফর খুনি খন্দকার মুশতাক।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জড়িত স্ব-ঘোষিত খুনীদের বিচার হলেও আজ পর্যন্ত এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের পিছনের মূল কুশীলবদের বিচার হয়নি। অবিলম্বে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিশন গঠন করে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের মদদদাতাদের মূল কুশীলবদের খুঁজে বের করে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানান দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান।
এছাড়াও তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনী মোশতাক চক্রের মুখোশ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার লক্ষে আমি ও দাউদকান্দি থেকে এর চিহ্ন মুছে ফেলতে আমি সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। আজকের ঘৃণা প্রদর্শনের মাধ্যমেই প্রমাণিত হয় নতুন প্রজন্ম এদেরকে কতটা ঘৃণা করে। যতোদিন বাংলাদেশ থাকবে ততোদিন এদেশের মানুষ পাকিস্তানী আইএসআইয়ের এজেন্ট খুনী মোস্তাককে ঘৃণার চোখে দেখবে। এসময় তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংসকারী, সংবিধান লঙ্ঘনকারী, অবৈধ সামরিক শাসক খুনী জিয়ার মরণোত্তর বিচারেরও দাবি জানান। বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণ আমরা কখনোই শোধ করতে পারবো না। তিনি অবিনশ্বর, চির অম্লান বলেও জানান তিনি।