।। নিজস্ব প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে সমকামীতা ও আর্থিক লেনদেন জনিত কারণে খুন হয় ল্যাব টেকনিশিয়ান এমদাদুল হক। বুধবার দুপুর ১২টায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান। এসময় তিনি জানান, গত ২৬ জুন (শুক্রবার) দাউদকান্দি উপজেলার গৌরিপুর বাজারে অবস্থিত একটি বেসরকারি হাসপাতালের ল্যাব টেকনিশিয়ান এমদাদুল হকের মৃতদেহটি একটি মাছের প্রজেক্টের পাশে পরে থাকতে দেখে স্থানীরা পলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহটি উদ্ধারের সময় তার গলায় গভীর কাটা এবং রক্তাক্ত এবং মাথার পেছনেসহ শরীররে বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পায়। এঘটনায় নিহত এমদাদের বোন হোসনে আরা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে দাউদকান্দি থানায় মামলা দায়ের করলে এর পর থেকে ছায়া তদন্তে নামে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভিস্টিগেশন (পিবিআই)। পরে চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার তদন্তভার পিবিআইয়ের হাতে হস্তান্তর হলে তদন্তকারী অফিসার পুলিশ পরিদর্শক (নি.) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, পিবিআই হেড কোয়াটার্স, ঢাকার এল আই সি এর সহযোগিতায় তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে গত রোববার (২৬ জুলাই) সন্দিগ্ন আসামি শরিয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার গুলমাইজ গ্রামের আবুল হোসেন মীরের ছেলে মো. ইমরানকে ঢাকার উত্তরা থেকে গ্রেফতার করা হয়। প্রথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। পরে তার দেয়া তথ্যমতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি লোহার বাট ও ১৩ ইঞ্চি লম্বা একটি ছোড়া উদ্ধার করা হয়। নিহত এমদাদুল হক মিঠু জেলার মুরাদনগর উপজেলার হাড়পাকনা গ্রামের আবুল হোসেন সরকারের ছেলে।
পরবর্তী সংবাদ