ঈদের দিনের গোয়ালমারী-জামালকান্দি যুদ্ধ

0 150

– বাশার খান

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ছিল জনযুদ্ধ। বিদ্রোহী বাঙালি সেনা, ইপিআর (বর্তমানে বিজিবি), বাঙালি পুলিশ এবং ছাত্র-যুবকরা সম্মুখযুদ্ধে অংশগ্রহণের পাশাপাশি সাধারণ ও নিরীহ গ্রামবাসীও প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত হয়েছিলেন এই যুদ্ধে। মুক্তিবাহিনী এবং গ্রামবাসী প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ত হওয়ার ঘটনার এমনই একটি যুদ্ধ সংঘটিত হয় ১৯৭১ সালের ২০ নভেম্বর, শনিবার ঈদের দিন। ২ নং সেক্টরের অন্যতম এই যুদ্ধ ‘গোয়ালমারী-জামালকান্দি যুদ্ধ’ নামে পরিচিত।

গোয়ালমারী ও জামালকান্দি কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার পাশাপাশি গ্রাম। খাল-বিল ও নদীবাহিত গ্রাম দুটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গোমতী সেতুর পূর্ব পাড় থেকে ৪-৫ কিলোমিটার দক্ষিণে। কৌশলগত কারণে এখানে মুক্তিযোদ্ধাদের দুটি গোপন ঘাঁটি ছিল। এ ছাড়া জামালকান্দিতে ছিল আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য খান সাহেব ওসমান আলী ও মুক্তিযুদ্ধ সংগঠক মোস্তফা সারওয়ারের বাড়ি। ভৌগোলিক কারণে গোয়ালমারী ও জামালকান্দিতে দিনের বেলা আক্রমণ করা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পক্ষে ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। তাই স্থানীয় এদেশীয় দোসর-রাজাকারদের সহযোগিতায় ২০ নভেম্বর ভোরে দুই শতাধিক পাকিস্তানি সেনা ভারী অস্ত্রের সমন্বয়ে গোয়ালমারী-জামালকান্দি আক্রমণ করে। মুক্তিযোদ্ধারা ছিলেন অপ্রস্তুত, ঈদের পবিত্র দিনে এমন আক্রমণ হতে পারে- কারও ধারণায় ছিল না। অস্ত্র ও সেনাশক্তিও তুলনামূলক কম ছিল। তাই স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের তাৎক্ষণিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা কঠিন ছিল। সাক্ষাৎকারে মুক্তিযোদ্ধা মনিরুল ইসলাম জানান, সহযোদ্ধাদের সতর্ক সংকেত পেয়ে আত্মরক্ষার্থে তারা প্রথমে পিছু হটে চলে যান। এরপর পজিশন নেন।

এলাকাবাসীর ভাগ্য সুপ্রসন্ন ছিল যে আক্রান্ত অঞ্চলের কাছেই চাঁদপুরের মতলর উত্তরের সুজাতপুর নেছারিয়া উচ্চবিদ্যালয়ে ছিল মুক্তিবাহিনীর একটি শক্ত ঘাঁটি। এটি মুক্তিবাহিনীর আঞ্চলিক হেড কোয়ার্টার। কমান্ডার ছিলেন তৎকালীন লেফটেন্যান্ট এম এ ওয়াদুদ। গোয়ালমারী-জামালকান্দি আক্রান্ত হওয়ার খবর ওয়্যারলেসের মাধ্যমে জানানো হয় তাকে। উল্লেখ্য, মতলবের সুজাতপুর গ্রামের বাসিন্দা এম ওয়াদুদ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিদ্রোহী অফিসার হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। মুক্তিযুদ্ধে ২ নং সেক্টরের বিভিন্ন যুদ্ধে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান আছে। তবে ঈদের দিনে ‘গোয়ালমারী-জামালকান্দি’ যুদ্ধে নেতৃত্বের ঘটনায় তিনি বিশেষভাবে স্মরণীয়। এই যুদ্ধে তিনি গুরুতর আহত হন।

লেফফেন্যান্ট ওয়াদুদ তার ‘স্বাধীনতাযুদ্ধের একটি রক্তাক্ত দিনের কিছু স্মৃতিকথা’ শীর্ষক স্মৃতিকথায় লেখেন, ‘হঠাৎ ওয়্যারলেসে সতর্ক সংকেত বেজে উঠল। সময় তখন ভোর ৪-৩০ মিনিট, …আমি অধিনায়ক হিসেবে হেড কোয়ার্টার ইউনিট এবং সুইসাইড ইউনিটগুলোকে প্রস্তুত হওয়ার জন্য নির্দেশ দিই।’ ঈদের দিন হওয়াতে সেদিন অনেক মুক্তিযোদ্ধাই সুজাতপুরে ছিলেন না। আঞ্চলিক হেড কোয়ার্টার রক্ষার জন্য মাত্র ৬৬ জন মুক্তিযোদ্ধা নিয়োজিত ছিলেন। এই ছোট বাহিনী নিয়েই গোয়ালমারীর দিকে রওনা হন লেফটেন্যান্ট ওয়াদুদ।

সামরিক দিক থেকে দুর্বল বাহিনী নিয়ে শক্তিশালী পাকিস্তানি সেনাদের প্রতিহত করা সহজ ছিল না। এ কারণে কমান্ডার ওয়াদুদ বিশেষ কিছু রণকৌশল প্রয়োগ করেন। তার বাহিনীকে তিনটি গ্রুপে বিভক্ত করেন। কমান্ডার ওয়াদুদের অধীনে একটি ইউনিট গোয়ালমারী বাজারসংলগ্ন খালের পশ্চিম তীরে খন্দকার বাড়ির পূর্ব পাশে অবস্থান নেন। বাকি দুটি ইউনিটের একটিকে গোয়ালমারী-জামালকান্দি রাস্তার মাঝে এবং অপর ইউনিটকে গোয়ালমারীর উত্তর-পশ্চিম দিকে অবস্থান নেয়ার নির্দেশ দেন। পূর্ব দিকে রাখা হয় স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের। এরপর সব ইউনিটের সমন্বয়ে সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে শত্রুর ওপর আক্রমণ করা হয়। পরে পার্শ্ববর্তী বর্তমান মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া থানার মুক্তিযোদ্ধারাও যুক্ত হন।

মুক্তিযোদ্ধাদের কৌশলী আক্রমণে সকাল ১০টার পর থেকে হানাদার বাহিনী অনেকটা দিশেহারা হয়ে পড়ে। এ সময় হানাদারদের একটি দল বিচ্ছিন্ন হয়ে জামালকান্দি গ্রামে ঢুকে পড়ে এবং ওসমান আলীর বাড়ি ও গ্রামবাসীর ঘরে আগুন দেয়। জামালকান্দি গ্রামের বাসিন্দা সেদিনকার প্রত্যক্ষদর্শী আইয়ুব আলী বলেন, “জামালকান্দিতে ঢুকে পড়া পাকিস্তানি সেনা গোয়ালমারী বাজারে অবস্থানরত বাহিনীর কাছে ওয়াকিটকিতে বলে, ‘আমাদের মুক্তিবাহিনী ঘেরাও করেছে, আমাদের উদ্ধার করো।’ ওখান থেকে বলা হয়, ‘আমরা তোমাদের অবস্থান জানি না। তোম লোগ আগুন লাগায়ে দো। হামলোগ সংকেত মিলজায়েগা।’ তারপর তারা বিভিন্ন ঘরে আগুন লাগিয়ে দিল। আগুন দেখে পাকিস্তানি সেনার অপর দল ওখান থেকেই শেল মারতে থাকে। পাকিস্তানিদের গুলিতে আমার শাশুড়ি আছিয়া খাতুন শহীদ হন।” জামালকান্দির গিয়াস উদ্দিন সরকারের স্ত্রী সামছুন নাহার তার দুই মেয়েকে নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারেননি। বাড়ির পুকুরপাড়ের ঝোপে আশ্রয় নেন। ঝোপে গাছের উপরিভাগের নড়াচড়া দেখতে পেয়ে মুক্তিবাহিনী সন্দেহে সেখানে ব্রাশফায়ার করে পাকিস্তানি সেনারা। পুকুরপাড়েই গৃহবধূ সামছুন সাহার ও তার মেয়ে ১৩ বছর বয়সী রেজিয়া খাতুন শহীদ হয়। মায়ের কোলে থাকা তিন মাস বয়সী জাহেদা গুলিবিদ্ধ হয়। শিশু জাহেদার রানের উপরিভাগে গুলি লেগে মাংস ছিঁড়ে বেরিয়ে যায়। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, জাহেদা ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান। এই করুণ অধ্যায় জানা যায়, শহীদ সামছুন নাহারের ছেলে (তৎকালীন কিশোর) জহিরুল ইসলামের স্মৃতিচারণায়। জহিরুল ইসলাম পাশের গ্রামে আশ্রয় নিয়ে সেদিন প্রাণ রক্ষা করেন।

তখনো তুমুল যুদ্ধ চলছে। নিজেদের অবনতি বুঝতে পেরে জামালকান্দিতে ঢুকে পড়া দলটি একসময় পালানোর চেষ্টা করে। পথিমধ্যেই ক্যাপ্টেন ওয়াদুদের অপর এক ইউনিট আবদুল আজিজ ও মহিউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন মুক্তিযোদ্ধারা অ্যামবুশ পেতে অপেক্ষা করছিলেন। জামালকান্দিতে তাণ্ডব চালানো দলটি ফিরতি পথে অ্যামবুশের খুব কাছে পৌঁছামাত্র মুক্তিবাহিনী তাদের ওপর তীব্র আক্রমণ করেন এবং প্রায় ৩০ জন পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়। অত্যন্ত সফল এই অ্যামবুশে হানাদার বাহিনীর প্রচুর অস্ত্র ও গোলাবারুদ মুক্তিযোদ্ধাদের হস্তগত হয়। মুক্তিবাহিনীর শক্তি ও মনোবল বৃদ্ধি পায়। এই অ্যামবুশে যুদ্ধের গতিপথ অনেকটাই নির্ধারণ হয়ে যায়।

এদিকে গোয়ালমারী বাজারে অবস্থানরত হানাদার বাহিনী তাদের অপর দলকে সাহায্য করার জন্য বাজারের দক্ষিণ দিকে অগ্রসর হতেই কমান্ডার ওয়াদুদের ইউনিট তাদের ওপর প্রচণ্ড আক্রমণ চালায়। তাদের বহু সৈন্য এই আক্রমণে হতাহত হয় এবং অবশিষ্টরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। এ সুযোগে কমান্ডার ওয়াদুদ তার এবং আরও একটি ইউনিট নিয়ে বাজারটি ঘিরে ফেলেন।

দীর্ঘ সময় ধরে চলা এই যুদ্ধে গোয়ালমারী-জামালকান্দি গ্রামের মানুষ নানাভাবে সাহায্য করেন। নারীরা খাদ্য ও পানি সরবরাহ করেন। পুরুষরা তথ্য সরবরাহ ও অস্ত্রশস্ত্র আনা-নেয়ার কাজে নিয়োজিত হন। যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর সহযোগী এফ এফ আক্তারুজ্জামান মাস্টার স্মৃতিচারণায় বলেন, “আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে যুদ্ধ চলছে। ক্ষুধার্ত বলে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে মুক্তিযোদ্ধাদের অসুবিধা হচ্ছিল। আমরা একটি বাড়িতে পজিশন নিলে এক বয়স্ক ভদ্রমহিলা আমাদের শুকনা মুখের দিকে তাকিয়ে স্নেহের চোখে বললেন, ‘তোমার খাওয়াদাওয়া হয়নি নিশ্চয়ই।’ এরপর এক টিন মুড়ি ও গুড় এনে দেন। আমরা আমাদের পশ্চিমে উঁচু ভিটার একটি ঘরকে ঢাল করে উঠানে বসে খেতে শুরু করি। সবাই উপোস, তাই এই গুড়-মুড়ি আমাদের কাছে অমৃতের সমান মনে হয়েছিল। এরপর মহিলা এসে বললেন, ‘পাঞ্জাবি গোলাম পুতদের কি ঈদ নাই? এমন ঈদের দিনেও আক্রমণ করে! বাবারা, একজন পাকিস্তানি সেনা যাতে ফেরত যেতে না পারে। আল্লাহর কাছে দোয়া করি, তোমাদের জয় হবেই।’ এরপর উনি আরও কিছু বলতে চাইলেও সময়ের অভাবে আর শোনা হয়নি। আমরা আবার যুদ্ধে যোগ দিই।”

বিকেলের দিকে হানাদার বাহিনীর গুলিতে মুক্তিবাহিনীর রুহুল আমীন শহীদ হন। এতে মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবল অগ্নিরূপ ধারণ করে। চূড়ান্ত আঘাত করতে অবতীর্ণ হয় মুক্তিবাহিনী। বিকেল ৪টা ২৭ মিনিটে হঠাৎ শত্রুর গুলিতে কমান্ডার ওয়াদুদ আহত হন। তারপরও তিনি তার মেশিনগান অনবরত চলমান রাখেন। গুলিতে তার ঘাড়ের মাংস উঠে যায়। চোয়ালে ও পায়েও গুলি লাগে। রক্তক্ষরণের কারণে তিনি কিছু দুর্বল হয়ে পড়ায় সেকেন্ডম্যানকে দায়িত্ব দিয়ে নিরাপদ দূরত্বে পিছিয়ে ফিল্ড ডাক্তারের মাধ্যমে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। ডা. আনোয়ার হোসেন রক্ত বন্ধ ও ব্যান্ডেজ দেন।

যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. এ. ওয়াদুদ। ছবি: লেখক।

কমান্ডার ওয়াদুদ আহত হলেও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধ থেমে থাকেনি। যুদ্ধ চলে রাত ১০টা পর্যন্ত। ততক্ষণে যুদ্ধের ফলাফল নির্ধারিত হয়ে যায়। হানাদার বাহিনীর অধিকাংশই সেনাই যুদ্ধে নিহত হয়। অল্পসংখ্যক সৈন্য দাউদকান্দি পালিয়ে যায়। লেফটেন্যান্ট ওয়াদুদের লেখককে দেয়া তথ্যমতে, এই যুদ্ধে ১২০ জন পাকিস্তানি সৈন্য নিহত হয়। পাকিস্তানি মেজর আল-আমিনসহ ১৫৪ জন বন্দি হয়। পাকিস্তানি সেনাদের প্রচুর অস্ত্র ও গোলাবারুদ মুক্তিবাহিনীর হস্তগত হয়। যুদ্ধে ৭ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। কমান্ডার ওয়াদুদসহ ১৭ জন মুক্তিযোদ্ধা আহত হন। গ্রামের ৮ জন সাধারণ নারী-পুরুষ শহীদন হন। গোয়ালমারী বাজারের বটগাছের নিচে থাকা ইনসান পাগলিনী পাকিস্তানিদের গুলিতে মারা যান। ভোরে পাকিস্তানি সেনারা আক্রমণ করলে ইনসান পাগলিনী ‘আইরে আইরে’ বলে চিৎকার করেছিলেন। এ কারণেই তাকে হত্যা করা হয়।

দাউদকান্দি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার এবং যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলম বলেন, ‘তখনো এ অঞ্চলে অনেক জায়গায় বর্ষার পানি ছিল। পরদিন সকালে দেখা যায়, লামছড়ি গ্রামের ব্রিজের নিচে ও গোয়ালমারী এলাকার খালে পাকিস্তানি সেনাদের অনেক লাশ ভাসছে।’ ৩০ নভেম্বর ১৯৭১ ভারতের ত্রিপুরার দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, এই যুদ্ধে পাকিস্তানি সেনা, পুলিশ এবং রাজাকাররাও নিহত হয়।

মুক্তিবাহিনীর এই বিজয়ের প্রভাব ছিল সুদূরপ্রসারী। এর ফলে বর্তমান চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণের পৌর এলাকা বাদে বৃহত্তর মতলবের বাকি অংশ, একই জেলার কচুয়া ও হাজীগঞ্জ উপজেলার উত্তরাঞ্চল, দাউদকান্দির দক্ষিণাঞ্চল এবং মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলা মুক্তিবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। বিশেষ করে দাউদকান্দি পরোক্ষভাবে শত্রুমুক্ত হয়ে যায়। এই যুদ্ধের পর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী দাউদকান্দি ও মতলব অঞ্চলে আর কোনো অভিযান বা তৎপরতা চালানোর কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। পরবর্তী সময়ে ৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ও ভারতের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ বাহিনী দাউদকান্দি থানা শত্রুমুক্ত করে এবং এখানে শক্ত ঘাঁটি স্থাপন করে। ঢাকা দখলের জন্য রণকৌশলগত অবস্থান বিবেচনায় চট্টগ্রাম ও সিলেটের চেয়ে দাউদকান্দির নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ এবং এখানে ঘাঁটি স্থাপনকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিল যৌথ বাহিনী।

লেখক: সাংবাদিক এবং গবেষক।

সূত্র : দৈনিক বাংলা, ২৮ জুন ২০২৩।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.