কুমিল্লার দাউদকান্দিতে “বঙ্গবন্ধু মঞ্চ” পুনরুদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন-বিক্ষোভ ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালিত।
।। নিজস্ব প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফের স্ত্রী ও থানা বিএনপি সভাপতির দখলে থাকা ঐতিহাসিক “বঙ্গবন্ধু মঞ্চ” পুনরুদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন, অবস্থান ধর্মঘট, বিক্ষোভ, ঘেরাও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেছে কুমিল্লা উত্তরের সর্বস্তরের জনগণ।
বুধবার (২৭ নভেম্বর ২০১৯) দাউদকান্দি বাজার সংলগ্ন পুরাতন ফেরিঘাটে দখলে থাকা বঙ্গবন্ধু মঞ্চের পাদদেশে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধু মঞ্চ পুনরূদ্ধার ও পুনঃস্থাপন কমিটি এই কর্মসূচির আয়োজন করে। এ সময় কমিটিরর আহ্বায়ক ও দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মেজর মোহাম্মদ আলী (অব.) বলেন, বিএনপি-জামায়াত সরকারের মন্ত্রী থাকা অবস্থায়, বিএনপি নেতা, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করে দাউদকান্দিতে অবস্থিত ‘‘বঙ্গবন্ধু মঞ্চ” তিনি তার স্ত্রী বিলকিছ মোশাররফ ও থানা বিএনপির সভাপতি শামছুল হকের নামে ‘‘২য় তলা বিশিষ্ট বিল্ডিংসহ ২৫ শতক জায়গা” ২,৬১,৩৬০ =টাকা দিয়ে নিলামে তুলে দখল করে নেন। দাউদকান্দি থেকে জাতির পিতার স্মৃতি মুছে ফেলতেই এই ষড়যন্ত্র করা হয়। আগামী বছর বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উদযাপিত হবে। সরকার প্রতিটি উপজেলায় বঙ্গবন্ধু মঞ্চ প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অথচ দাউদকান্দিতে বঙ্গবন্ধু মঞ্চ ছিলই। ১৯৭৩ সালে ৪ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু এই মঞ্চে দাঁড়িয়ে জনসমুদ্রে ভাষণ দেন। সমকালীন সংবাদপত্রে এই বঙ্গবন্ধু মঞ্চের কথা উল্লেখ আছে। জাতির পিতার স্মৃতিবিজড়িত এই মঞ্চটি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দখলে নেয়া হয়েছে।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু-সহ বিভিন্ন স্লোগান দেয়। বঙ্গবন্ধু মঞ্চ উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত লাগার কর্মসূচি পালিত হবে বলেও জানান বক্তারা।
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন,
দাউদকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড আহসান হাবিব চৌধুরী লীল মিয়া, দাউদকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সালাম, মুক্তিযুদ্ধা কমান্ডার মোঃ খোরশেদ আলম, কুমিল্লা উত্তর জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি রকিব উদ্দিন রকিব, দাউদকান্দি যুবলীগের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন, যগ্ম আহ্বায়ক হলেলাল মাহমুদ, দাউদকান্দি ছত্রলীগের সভাপতি তারিকুল ইসলাম নয়ন, কুমিল্লা উত্তর জেলা মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগের সভাপতি রকিব সরকার, উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিকলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, অঙ্গ সঙ্গঠনের সকল নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ