।। নিজস্ব প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার দাউদকান্দির কৃতী সন্তান ও দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রিন্সিপল এফ. এম. আব্দুর রব-এর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মরহুমের প্রথম জানাজা বাদ জুমা ধানমন্ডি-৭ এর বায়তুল আমান জামে মসজিদে, ২য় জানাজা কল্যাণপুরে এবং তৃতীয় জানাজা বনানী কবরস্থানে অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বাদ আসর বনানী কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।
শুক্রবার বেলা ১১.২০ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রফেসর আব্দুর রব। তাঁর মেয়ের স্বামী ও আহমদ পাবলিশিং হাউসের কর্ণধার মেসবাহ উদ্দিন পাশা জানান, প্রফেসর আব্দুর রব দীর্ঘদিন যাবৎ বার্ধক্যজনীত বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছিলেন।
প্রিন্সিপল আব্দুর রবের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন কুমিল্লা-১ (দাউদকান্দি ও মেঘনা) আসনের সংসদ সদস্য এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেজর জে. (অব.) মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়া।
প্রিন্সিপল আব্দুর রব দাউদকান্দি উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নের প্রসিদ্ধ ফকির বাড়ির কৃতি সন্তান। বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের অধিকারী প্রফেসর আব্দুর রব মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ ও বরিশাল ক্যাডেট কলেজের প্রিন্সিপল ছিলেন। এ ছাড়াও তিনি বিভিন্ন সময় ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের ভাইস প্রিন্সিপল, দাউদকান্দি আদর্শ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, কামাল আতার্কুক হাইস্কুল ও পূবালী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন।
দল মত নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষের অত্যন্ত প্রিয় ব্যক্তিত্ব জনাব আব্দুর রব ন্যাশনাল ব্যাংক পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপল ছিলেন।
শিক্ষকতার পাশপাশি লেখালেখি ও গবেষণায় সমান পারদর্শী প্রিন্সিপল আব্দুর রব। তাঁর লেখা গ্রন্থের সংখ্যা ৬টি। এরমধ্যে ‘ক্যাডেট কলেজ ও আপনার সন্তান’ এবং ‘সেলফ টিচিং ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ’ অন্যতম। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে তিনি একশরও বেশি প্রবন্ধ-নিবন্ধ লিখেছেন।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.