।।নিজস্ব প্রতিবেদক।।
কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সরকারি বাসভবন ‘পায়রা’। শুধু বসন্তেই নয়, এই ভাদ্র মাসেও ফুল ফুটেছে বেশ কয়েকটি গাছে। সবুজ পাতা, নান্দনিক পুকুরঘাট, ফুলগাছ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন আশপাশ- সব মিলিয়ে চোখ জুড়ানো এক অন্যরকম পরিবেশ।
অথচ গত প্রায় ২৮ বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়েছিল ভবনটি। ২০১৫ সালে দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলী। পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে প্রথমবারের মত পায়রায় উঠেন তিনি। তখন পুরো বাড়িতেই ছিল ভূতুড়ে পরিবেশ। এরপর উপজেলার চেয়ারম্যানের নানা প্রয়োজনীয় উদ্যোগে বদলে যেতে থাকে বাড়ির চেহারা।
ধীরে ধীরে সংস্কার করা হয় বাড়ির গ্যারেজ, গেস্টরুম, বারান্দা, সামনের উঠোন। আশাপাশের ঝোঁপ-জঙ্গল পরিস্কার করে লাগানো হয় নানা রকমের ফুলের গাছ।
পায়রা সামনের পুকুরঘাট।
শুধু তাই নয়, খাবার পানির অভাব দূর করতে বসানো হয় গভীর নলকূপ, যার সুবিধা ভোগ করছেন পুরো উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা।
গেল বসন্তে ফুল ফুটেছিল পায়রার প্রতিটি ফুলগাছে। তীব্র গরমের এই ভাদ্র মাসেও ফুল আছে কয়েকটি গাছে। দূর থেকে দেখলে মনে হয় এ যেন ফুলের বাড়ি। এখানে দাপ্তরিক কাজ বা সেবা নিতে আসা লোকজন বাড়ির বর্তমান সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হন। পায়রার বাগান ও পুকুরঘাটে অনেকেই ছবি তুলেন। প্রিয়জনের জন্য কেউ তুলে নিচ্ছেন ফুল।
ছবি : পায়রার এই ছবি গেল বসন্তে তোলা। তখন ফুল ছিল প্রতিটি গাছে।
স্থানীয়রা জানান, কয়েক বছর আগেও পায়রার আশপাশ দিয়ে হাঁটতো না কেউ। কিন্তু এখন বাড়িটির দিকে তাকালে মন চায়, ফুলের সৌরভের ছোঁয়া নিতে।
উল্লেখ্য, দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের জন্য নির্ধারিত সরকারি বাসভবন হিসেবে পায়রা নির্মিত হয় ১৯৮৭ সালে। তখন উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন জনাব খালেক সাহেব। পরে ইউসুফ জামিল বাবু চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেও ভবনটিতে উঠেননি। এরপর ২০০৯ সালে আবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি। কিন্তু নানা আইনি জটিলতায় তার চেয়ারম্যান পদ বাতিল হয়ে যায়। এ কারণে পায়রার দুর্দশা আর কাটেনি। পরে ২০১৫ সালে মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলী চেয়ারম্যান হওয়ার পর পায়রায় বসবাস শুরু করলে প্রাণ ফিরে পায় বাড়িটি- যা এখন হয়ে উঠেছে উপজেলা পরিষদ এলাকার ফুল বাড়ি।