দাউদকান্দির বিটেশ্বর-কাটারাপাড়া সড়ক সংস্কার: স্বস্তি হাজারো মানুষের

552

কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার বিটেশ্বর (জয়বাংলা)-কাটারাপাড়া সড়কে যাতায়াতকারীদের মুখে এখন হাসি। দাউদকান্দির দক্ষিণাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি বেহাল দশা থেকে এখন মুক্ত। এ পথে যেতে হলে ধুলা-বালি এড়াতে এখন আর কাউকে রুমাল/আঁচল দিয়ে নাক-মুখ ঢাকতে হয় না। বৃষ্টির দিনে খানাখন্দে পড়ে উল্টে যায় না কোনা রিকশা, অটোরিকশা অথবা অন্য কোনো যানবাহন। অথচ গেল বছরেও এসড়ক দিয়ে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হত স্থানীয়দের। বয়ষ্ক লোক এবং গর্ভবতী মায়েরা ডাক্তার দেখানোর জন্য এ পথে যেতো না। বাধ্য হয়ে অনেক দূর দিয়ে বিকল্প পথে যেতো তারা।
জানা যায়, গত বছরের শেষের দিকে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদী স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) সুবিদ আলী ভূঁইয়ার উদ্যোগে বিটেশ্বর বাজার থেকে কাটারাপাড়া পর্যন্ত প্রায় ২ কি. মি. সড়কটির সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়। প্রায় ৩৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে দ্রুতই সংস্কার করা হয় সড়কটি। সরকারি উন্নয়ন কাজে বিভিন্ন দ্প্তরে চিঠি চালাচালি করতে সাধারণত অনেক সময় ব্যয় হয়। এ কারণে দ্রুত সময়ে সড়কটি সংস্কার সম্পন্ন করার জন্য সার্বিক তদারকি করেন দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান (শ্রেষ্ঠ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম বিভাগ ও কুমিল্লা জেলা) মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলী। ফলে অল্পসময়েই সড়কটি সংস্কারের যাবতীয় কাজ সম্পন্ন হয়। মুক্তি আসে জনদুর্ভোগ থেকে।

প্রতিদিন কয়েক হাজার যাত্রী চলাচল করে এই সড়ক দিয়ে। স্কুল-কলেজে যায় শত শত ছাত্র-ছাত্রী। কাটারাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মাজহারুল ইসলাম সরকার বলেন, এসড়কটির সংস্কার করার ফলে এলাকাবাসী মহাখুশী। আমরা এখন দূর্ভোগ মুক্ত। এমপি স্যারকে ধন্যবাদ। ধন্যবাদ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাবকেও। বর্তমানে এসড়কটি দিয়ে মলয়, পার্শ্ববর্তী মতলবের পিতামদ্ধী সড়কের সকল যানবাহন চলাচল করে। এসড়কের মাধ্যমে অল্পসময়ে গৌরীপুরে যাওয়া-আসা করা যায়।
সিএনজি অটোরিকশাচালক জাকির হোসেন বলেন, আমি এ রোডে ১০ বছর যাবৎ সিএনজি চালাই। আগে বিটেশ্বর বাজার থেকে কাটারাপাড়া যেতে সময় লাগতো ৩০ মিনিটেরও বেশি। মাঝে মধ্যে যাত্রীরাও সিএনজি ঠেলে নিতে হতো। রাস্তাটি দিয়ে অনেকে চলাচল করতে চাইতো না। গর্তে পড়ে গাড়ীর অনেক ক্ষতি হতো। এখন সময় লাগে মাত্র ৫ মিনিটি। এ রোডে প্রচুর যাত্রী যাতায়াত করে। সড়কটি দ্রুত সংস্কার হওয়ায় আমার ইনকামও বেড়েছে।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.