||নিজস্ব প্রতিনিধি||
কুমিল্লা মেঘনা উপজেলার চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের চাঞ্চল্যকর কামরুল ইসলাম হত্যা মামলার ১ নম্বর আসামি চালিভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির (৫০) সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এজাহার ভুক্ত নামীয় আসামিরা হলেন- চেয়ারম্যান এর সহদর ছোট ভাই ৩ নম্বর আসামী মো. সানাউল্লাহ (৪৬) ও চেয়ারম্যান এর ছেলে ৪ নম্বর আসামী সাব্বির আহম্মেদ (২৮)। একই এলাকার অজ্ঞাত আসামী হাজী মোহাম্মদ ওমর আলীর ছেলে আবু তাহের (২৪) সহ আনছার আলীর ছেলে মো. মমিন (৪৩)।
গত মঙ্গলবার (৬ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৪) দুপুরের দিকে কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার এর দিক নির্দেশনায় মেঘনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে সঙ্গীয় এসআই উজ্জ্বল চন্দ্র সূত্রধর, এসআই মো. হাক্কানী বিল্লাহ, এএসআই মো. আল মামুন জিহাদি’সহ একটি চৌকস দলের পাঁচদিন ব্যাপী যৌথ অভিযানে ঢাকা মহানগরীর সেগুনবাগিচা এলাকায় সাড়াশি অভিযান চালিয়ে হত্যার ঘটনায় নেতৃত্বদানকারী মূল হোতা ও একাধিক মামলার আসামি চালিভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবিরকে (৫০) গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ওই ইউনিয়নের নলচর গ্রামের মৃত আক্কাছ আলীর ছেলে।
এ বিষয়ে প্রেস রিলিজ এর মাধ্যমে গত ৭ই ফেব্রুয়ারী বুধবার মেঘনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন জানান, আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাতদিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদনসহ এই আসামিদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেন। মামলার এজাহার নামীয় ও অন্যান্য জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার আধিপত্য বিস্তারের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি কামরুল হাসান নিহত হয় ও কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা রব মিয়া বাদী হয়ে বুধবার (৩১শে জানুয়ারী) ২৬ জন নামীয় ও ২৫ থেকে ২৬ জন অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন।